Wednesday, 3 October 2012

What kind of bangladesh's spy? All knows, but do not say!

‘গোয়েন্দারা সব জানেন, কিন্তু বলেন না’
Wed, Oct 3rd, 2012 6:38 pm BdST
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অক্টোবর ০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দায়ী করে এ ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে তিনি বলেন, “এখন এই ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত বলা হচ্ছে। পূর্ব পরিকল্পিত হলে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কী করলো?”

হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমালোচনা করে মিজানুর রহমান বলেন, “তারা সব বিষয় জানেন। কিন্তু সব তথ্য সকলের জন্য প্রকাশ করেন না। কার স্বার্থ রক্ষার্থে তারা এমনটা করে এ বিষয়ে সরকারকে সচেতন হতে হবে।”

কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ বসতিতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে ‘সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের রক্তাক্ত প্রতিচ্ছবি’ আখ্যায়িত করেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, “খবরের কাগজে যে ভাঙা-চোরা বুদ্ধের মূর্তি দেখেছি তা আসলে বুদ্ধের মূর্তি নয়, তা আসলে সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের রক্তাক্ত প্রতিচ্ছবি, যা আমাদের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে কালিমা লেপন করেছে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর): রাইটস অব দ্য পিপলস অব চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন মিজানুর রহমান।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই সেমিনারের আয়োজন করে।

ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে গত শনিবার রাতে রামুতে বৌদ্ধ মন্দির ও ঘরবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ধর্র্মীয় উগ্রপন্থীরা। রাতভর হামলায় সাতটি বৌদ্ধ মন্দির, অন্তত ৩০টি বাড়ি ও দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়। হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় আরো শতাধিক বাড়ি ও দোকানে।
এই ঘটনার জেরে পরদিন কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ এবং চট্টগ্রামের পটিয়ায় হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা হয়।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন, একদিকে ধর্মনিরপেক্ষ আর অপর দিকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রেখে যে গোজামিল রাখা হয়েছে, এ ধরনের ঘটনা তারই প্রতিফলন।

“গোজামিল দিয়ে কখনও কোনো কাজ শুভ হয় না।”

মানবাধিকার কমিশন আগামী শুক্রবার রামুতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবে জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, সেখানে স্থানীয় জনসাধারণ ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।

এ সময় পার্বত্য শান্তিচুক্তি নিয়েও কথা বলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, “এই চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না দাবি করে অনেকে এটার পরিবর্তন ও সংশোধনের কথা বলছেন। কিন্তু তা করা হলে সেটি হবে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় আতœঘাতী সিদ্ধান্ত।”

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক প্রসঙ্গে অধ্যাপক মিজান বলেন , তাদের যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের মৌলিক অধিকারগুলো যদি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় তাহলে এ নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তা অনেকাংশেই নিরসন হবে।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডালেম চন্দ্র বর্মন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিরুপমা চাকমা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এএইচ/এইচএ/১৮৩১ ঘ.

No comments:

Post a Comment