বৌদ্ধপল্লিতে হামলা
ফেসবুকের ছবি নিয়ে উসকানিদাতা তরুণ গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার | তারিখ: ১১-১০-২০১২

কক্সবাজারের রামুতে উত্তম কুমার বড়ুয়ার ফেসবুক থেকে অবমাননাকর ছবি নামিয়ে লোকজনকে দেখিয়ে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে মো. আবদুল মুক্তাদির (১৯) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার ভোরে চট্টগ্রাম শহর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুক্তাদির রামু উপজেলা সদরের শ্রীকুল গ্রামের সৌদি আরবপ্রবাসী শাহাবুদ্দিনের ছেলে। পুলিশের দাবি, মুক্তাদির ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সেলিম মো. জাহাঙ্গীর গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত ২৯ সেপ্টেম্বর কোরআন শরিফের অবমাননাকর একটি ছবিতে “লাইক” দেন রামুর উত্তম কুমার বড়ুয়া। বিষয়টি দেখতে পান তাঁর ফেসবুক বন্ধুরা। এমনই এক বন্ধু কম্পিউটারের দোকানমালিক ফারুকের ফেসবুক থেকে বিষয়টি দেখতে পান মুক্তাদির। রাত আটটার দিকে মুক্তাদির রামু সদরের চৌমুহনীতে ফারুকের কম্পিউটারের দোকান থেকে ছবিটি ডাউনলোড করে হইচই শুরু করেন। মানুষজন জড়ো হলে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এরপর লোকজন রামুতে মিছিল শুরু করেন। রাত ১১টার দিকে হাজার হাজার লোক এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। ১২টার পর শুরু হয় বৌদ্ধবিহার ও মন্দিরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।’
ওই দিন রাতে দুষ্কৃতকারীরা রামুর ১২টি বৌদ্ধমন্দির ও শতাধিক বসতবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। মুক্তাদিরের বাড়ির পাশের লালচিং ও সাদাচিং নামের দুটি প্রাচীন বৌদ্ধমন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর জের ধরে পরদিন জেলার উখিয়া ও টেকনাফ এবং চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৌদ্ধ ও হিন্দুমন্দির, বসতবাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতকারীরা।
পুলিশ সুপার সেলিম মো. জাহাঙ্গীর বলেন, শিবির ক্যাডার মুক্তাদিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত রামু, উখিয়া ও টেকনাফের মন্দিরে হামলার ঘটনায় করা ১৬টি মামলায় ২১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রামুর ওই কম্পিউটারের দোকানমালিক ফারুককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরার চেষ্টা চলছে।
রামুর মন্দির পোড়ানোর মামলা তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম) মো. ইলতুত মিশ প্রথম আলোকে বলেন, উত্তম কুমার বড়ুয়াকেও ধরার চেষ্টা চলছে। ঘটনার দিন থেকে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আত্মগোপন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মুক্তাদির রামু উপজেলা সদরের শ্রীকুল গ্রামের সৌদি আরবপ্রবাসী শাহাবুদ্দিনের ছেলে। পুলিশের দাবি, মুক্তাদির ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সেলিম মো. জাহাঙ্গীর গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত ২৯ সেপ্টেম্বর কোরআন শরিফের অবমাননাকর একটি ছবিতে “লাইক” দেন রামুর উত্তম কুমার বড়ুয়া। বিষয়টি দেখতে পান তাঁর ফেসবুক বন্ধুরা। এমনই এক বন্ধু কম্পিউটারের দোকানমালিক ফারুকের ফেসবুক থেকে বিষয়টি দেখতে পান মুক্তাদির। রাত আটটার দিকে মুক্তাদির রামু সদরের চৌমুহনীতে ফারুকের কম্পিউটারের দোকান থেকে ছবিটি ডাউনলোড করে হইচই শুরু করেন। মানুষজন জড়ো হলে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এরপর লোকজন রামুতে মিছিল শুরু করেন। রাত ১১টার দিকে হাজার হাজার লোক এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। ১২টার পর শুরু হয় বৌদ্ধবিহার ও মন্দিরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।’
ওই দিন রাতে দুষ্কৃতকারীরা রামুর ১২টি বৌদ্ধমন্দির ও শতাধিক বসতবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। মুক্তাদিরের বাড়ির পাশের লালচিং ও সাদাচিং নামের দুটি প্রাচীন বৌদ্ধমন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর জের ধরে পরদিন জেলার উখিয়া ও টেকনাফ এবং চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৌদ্ধ ও হিন্দুমন্দির, বসতবাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতকারীরা।
পুলিশ সুপার সেলিম মো. জাহাঙ্গীর বলেন, শিবির ক্যাডার মুক্তাদিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত রামু, উখিয়া ও টেকনাফের মন্দিরে হামলার ঘটনায় করা ১৬টি মামলায় ২১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রামুর ওই কম্পিউটারের দোকানমালিক ফারুককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরার চেষ্টা চলছে।
রামুর মন্দির পোড়ানোর মামলা তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম) মো. ইলতুত মিশ প্রথম আলোকে বলেন, উত্তম কুমার বড়ুয়াকেও ধরার চেষ্টা চলছে। ঘটনার দিন থেকে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আত্মগোপন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment