Sunday 14 October 2012


Prothom Alo

ঢাকা, রোববার, ১৪ অক্টোবর ২০১২, ২৯ আশ্বিন ১৪১৯, ২৭ জিলকদ ১৪৩৩

রামু: বিচার বিভাগীয় তদন্তের মরীচিকা

মিজানুর রহমান খান | তারিখ: ১৪-১০-২০১২
রামুর ঘটনায় নিজেরা তদন্তে নামার ঘোষণা না দিয়ে রাষ্ট্রের কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছে আমাদের নাগরিক সমাজ। তারা কি আরেকবার প্রমাণ করছে, তারা গড়পড়তা সুবিধাবাদী? ১৯৫৬ সালের একটি আইনে তদন্ত কমিশন হয়। কমিশন সিভিল কোর্টের মতো কাজ করতে পারে। কমিশনের সদস্যরা পাবলিক সার্ভেন্ট বলে গণ্য হন। কোথাও দাঙ্গা বা এমনতর শান্তি বিনষ্ট হলে জাতীয়ভাবে যে বড় তদন্ত করা হয়, রাষ্ট্র নিজের গরজেই তার প্রধান হিসেবে কোনো বেসরকারি ব্যক্তিকে আনে। বাংলাদেশে তার উল্টো। এখানে সরকারি আতর না মাখানো হলে জমে না। 
বহু অঘটনের দেশ বাংলাদেশ। এখানে সরকারি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সাধারণত আলোর মুখ দেখে না। আর বেসরকারিভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো তদন্ত বা সমীক্ষার কাজ হয় না বললেই চলে। পিলখানা নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ছাড়া একমাত্র সংকলনটি এসেছে বিদেশি মানবাধিকার সংস্থার কাছ থেকেই। 
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানসম্মতভাবেই প্রায় দুই দশক ধরে দুই নেত্রীর নিরঙ্কুশ ইচ্ছা অনুযায়ী গঠিত হয়েছে এবং তার ফলাফল ও পরিণতি সম্পর্কে নাগরিক সমাজ নিশ্চয় ওয়াকিবহাল। কোনো ক্ষমতাসীন দল একটি বিচার বিভাগীয় রায় বা আদেশ দেখিয়ে বলতে পারবে না যে, অমুক রায় বা আদেশের কারণে তাদের স্পর্ধিত স্পর্শকাতরতা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। যখন যে বিষয়ে যে রূপ ফলাফল দেখতে তাদের প্রাণে বাসনার উদ্রেক ঘটেছে, তখন তা তারা ঠিকঠাকমতো পেয়ে গেছেন। এর ব্যতিক্রম নেই? আছে। তবে তার তালিকা করতে বসলে উনিশ পিপে নস্যি ফুরাবে!
সাম্প্রতিক ইতিহাসে কোনো বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন সমাজে বিরাট গ্রহণযোগ্যতা দিতে পারেনি, বরং অনেক ক্ষেত্রে লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও ময়মনসিংহের সিনেমা হলে সংঘটিত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের ফলাফল জাতিকে হতাশ করেছে। সেটা ছিল বিএনপি-জামায়াত সরকারের কলঙ্কিত কীর্তি। যদিও তাদের আমলে শামসুন্নাহার হলের ঘটনায় বিচারপতি তাফাজ্জাল ইসলাম কমিশনের প্রতিবেদন আস্থা অর্জন করেছিল। 
বিএনপি যে একটি লিখিত তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেছে, সেটা দেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। তাদের সুপারিশ সমর্থনযোগ্য। এই প্রতিবেদন ভালো কি মন্দ, সেটা নিয়ে তর্ক করা যাবে। কিন্তু বিএনপিকে ধন্যবাদ, তারা যে দ্রুততার সঙ্গে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। রামুর ঘটনায় সরকার এখন পর্যন্ত একটি প্রেসনোট পর্যন্ত জারি করেনি। ব্যক্তিগতভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জব্দ করতে গিয়ে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রকে দরিদ্র নারীর বিরুদ্ধে অবস্থানকারী একটি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। সেই দুর্নাম টাটকা থাকা অবস্থায় ঘটল রামুতে তাণ্ডব। বাংলাদেশের গায়ে নির্বিচারে শান্তিবাদী বৌদ্ধদের মন্দির ধ্বংসের কালিমা লেপ্টে গেল। 
বিএনপি নিজেরা তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেও আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, দেশে এখন ১৪ জন সাবেক প্রধান বিচারপতি রয়েছেন। তাঁদের একজনকে প্রধান করে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন চাইছে তারা। সৈয়দ আবুল মকসুদের নেতৃত্বাধীন একটি নাগরিক কমিটি এবং তার আগে সুলতানা কামাল বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন চেয়েছেন। নাগরিক কমিটির আশঙ্কা, সব সরকারই যেহেতু সত্যকে ভয় পায়, এই সরকারও তার ব্যতিক্রম হবে না। আমরা এই বক্তব্যের সঙ্গে একাত্ম হতে পারি। পঁচাত্তরে জেল হত্যাকাণ্ডের পরও বিচার বিভাগীয় একটি তদন্ত কমিশন গঠিত হয়েছিল। তাকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। সেদিনের শাসকগোষ্ঠীও সত্যকে ভয় পেয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যে সরকার সত্য ভয় পায় সে কোন দুঃখে সত্য উদ্ঘাটনে গ্রহণযোগ্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে দেবে?
আইন কিংবা মানুষ কোনোটিরই হয়তো অভাব নেই। আন্তরিকতা থাকলে সরকার আরও পরে হলেও উপযুক্ত তদন্ত কমিশন গঠন করতে পারে। বিভিন্ন মহল থেকে অব্যাহতভাবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের কথা বলা হলেও সরকারি মহল থেকে এখন পর্যন্ত তার নাকচ করে দেওয়া হয়নি। মওদুদ আহমদ বলেছেন, যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে তদন্ত অনুষ্ঠান হলে তার বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে না। তবে রামুর মতো ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহু ধরনের ও পর্যায়ের তদন্ত কমিটি বা কমিশন হতে পারে। 
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের সরকারি কমিটিতে কোনো জনপ্রতিনিধি কিংবা বেসরকারি ব্যক্তিকে রাখা হয়নি। এই রাষ্ট্র যে এখনো আমলাতান্ত্রিক, এটা তার আরেকটি দুর্ভাগ্যজনক নজির। ওই কমিটির অপর তিনজন হলেন: বান্দরবনের পুলিশ সুপার, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এই কমিটির কার্যপরিধি কী, তা জানি না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে। কিন্তু কমিটি নাকি আরও সময় চেয়েছে। এই কমিটির প্রতিবেদন যেমনই হোক, সেটা যেন আলোর মুখ দেখে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন এই প্রতিবেদনের একটি ইংরেজি ভাষ্য আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট, যেখানে গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে সরকারি ভাষ্য রয়েছে, সেখানে যেন পেয়ে যায়। গান পাউডার ও ‘দুই ইঞ্চি আকৃতির হাজার হাজার সিমেন্ট’-এর ব্লক কোথা থেকে এল, তার যেন উত্তর থাকে। 
বিএনপির তদন্ত প্রতিবেদন বলেছে, ‘রামু থেকে থানার দূরত্ব মাত্র আধা কিলোমিটার। জেলা পুলিশ সদরের দূরত্ব আট কিলোমিটার। আর সেনাবাহিনী ছিল চার কিলোমিটার দূরে। পুলিশ সুপারকেও ঘটনার বিষয়ে বারবার অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু কেউই পরিস্থিতি শান্ত বা নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমিকা নেয়নি।’ গতকাল সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে সীমান্তের ওপার থেকে আসা ‘হাফ প্যান্ট পরা বাহিনীর’ কথা বলেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘রামু থানার সাবেক ওসি (নজিবুল ইসলাম) এখনো চট্টগ্রাম থেকে বিতর্কিত লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এ হামলায় রাজনীতি নেই। আছে অপরাজনীতি। তাই থানায় দায়ের করা মামলাগুলোর (মোট ১৬টি) তদন্তে সিআইডি অথবা গোয়েন্দা পুলিশ দিয়ে করানো প্রয়োজন। কারণ, পুলিশের প্রতি মানুষের কোনো আস্থা নেই।’
এখানেই বড় প্রশ্ন। সিআইডি বা ডিবির প্রতি মানুষের তেমন আস্থা আছে, তা কি বলা যায়? তা ছাড়া পরোক্ষভাবে হলেও সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিএনপির তদন্ত প্রতিবেদনের প্রশ্ন সামনের দিনগুলোতে তীব্রতা পেতে পারে। কক্সবাজারের একজন সংবাদদাতা টেলিফোনে আমাকে বলেন, কর্মকর্তারা বলছেন, সেনাবাহিনীকে যথাসময়ে তলব করা হয়নি। তাদের নির্দেশ পেতে বিলম্ব ঘটেছে। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে এ ঘটনা ঘটলে সেনাবাহিনী নিজেদের সিদ্ধান্তে পদক্ষেপ নিতে পারত। কিন্তু কক্সবাজারে তাদের সেই এখতিয়ার ছিল না। 
অবশ্য ব্রিটিশ আমল থেকে একটি আইন এবং তার অনুশীলন সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের কাছে অত্যন্ত পরিষ্কার যে, যেকোনো আপৎকালীন প্রতিটি জেলা প্রশাসন নিকটবর্তী সেনানিবাস বা সেনাশিবিরের সাহায্যে চাইতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রচলিত আইনে কোনো ঘাটতি নেই। 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেজর জেনারেল (অব.) আমীন আহম্মেদ চৌধুরী বললেন, ‘ডিসি কিংবা রামু থানার কর্তব্যরত কোনো ম্যাজিস্ট্রেট ২৯ সেপ্টেম্বর রাতেই নিকটতম সেনাঘাঁটির সাহায্য চাইতে পারতেন। সে ক্ষেত্রে কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের চেয়ে পদমর্যাদায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা যদি উচ্চপর্যায়েরও হতেন, তা হলেও কোনো ক্ষতি ছিল না। আইনে এ ধরনের অবস্থা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সেনা কর্মকর্তার ওপরের নির্দেশের অপেক্ষা কিংবা না বলার কোনো সুযোগ নেই।’ 
অন্যদিকে হামলা ঠেকাতে কক্সবাজারের ডিসি বা কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে সেনা সাহায্য চাইতে ওপরের নির্দেশের অপেক্ষায় থাকার কথা নয়। অন্তত আইন তা দাবি করে না। তবে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে সেনা কর্মকর্তাকে লিখিত অনুরোধ পেতে হবে। 
আমরা আসলে অনেক তথ্য জানতে চাই। ওই ধরনের লিখিত নির্দেশ কেন যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট সেনা কর্মকর্তার কাছে পৌঁছায়নি। কিংবা পৌঁছে থাকলে কোনো বিলম্ব ঘটেছে কি না? অবশ্য প্রশাসন যে ভয়ানক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, সেটা আমরা বুঝতে পারি, ৩০ সেপ্টেম্বরে টেকনাফ ও উখিয়ায় সাতটি মন্দিরে হামলার ঘটনায়। দেশের অনেক জায়গায় পুলিশ আর সরকারি দলের লোকজন মিলেমিশে একাকার। রামুর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টিকে স্থানীয় দলীয় নেতাদের ভূমিকার আলোকে যাচাই করতে হবে। 
সাধারণভাবে একটি দাঙ্গার অনেকগুলো দিক থাকে, যেটা তাৎক্ষণিকভাবে চোখে পড়ে না। ১৯৬৫ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে দাঙ্গা হয়েছিল। প্রথমে জন ম্যাককন কমিশন শহরের মেয়র, পুলিশ-প্রধান ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তার কথা শুনে রিপোর্ট দিয়েছিল। তাতে তারা বলেছিল, আফ্রিকান-আমেরিকান মধ্যকার যে অংশটি বিপথগামী, তারাই শুধু দাঙ্গায় অংশ নিয়েছে। কমিশনের কথায়, ‘অভিন্ন মূল্যবোধ ও দায়িত্বশীলতার বোধের ঘাটতি থাকার কারণে দাঙ্গা বাধে।’ কিন্তু বহু পরে গবেষকেরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখেন, কৃষ্ণাঙ্গদের সংখ্যাগরিষ্ঠ যে অংশটি দাঙ্গায় নীরব দর্শক ছিল, তারাও আসলে মনে মনে হামলাকারীদের সমর্থন দিয়েছিল। 
রামুর ঘটনায় পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ধারণা একটি বিষয়, আর স্থানীয় ‘পরিচিত মুখগুলোর’ অংশগ্রহণ আরেকটি বিষয়। তাদের সংখ্যা অল্প না বেশি, সেটা খতিয়ে দেখার বিষয়। 
উত্তর লন্ডনে গত বছরের আগস্টে অভাবনীয় দাঙ্গা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংসদীয় বাছাই কমিটি দ্রুত কাজ শুরু করে। কিন্তু বিরোধী দল একটি পূর্ণাঙ্গ কমিশনের দাবি তোলে। তাদের যুক্তি ছিল, দাঙ্গা ও লুটের প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করতে হবে। কারণ, প্রতিবেশীদের ‘পরিচিত মুখগুলোও’ লুটতরাজে অংশ নিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বিরোধী দলের কমিশন গঠনের দাবি প্রথমে না মানলেও পরে তাদের দাবি মেনে নেন। চার বেসরকারি সদস্যের এই কমিশন দেখতে পায়, অনধিক ১৫ হাজার মানুষ দাঙ্গায় অংশ নেয়, যাদের অধিকাংশের বয়স ছিল ২৪ বছরের নিচে। এই তরুণেরা পিতামাতার কাছ থেকে ভালো শিক্ষা-দীক্ষা না পাওয়ার কারণে ওই লুটপাটে অংশ নেয় বলে কমিশন মন্তব্য করেছিল। 
লক্ষণীয় যে, দোষীদের শুধু দণ্ডদানের কথাই ব্রিটেন ভাবেনি, তারা একই সঙ্গে রিকনসিলিয়েশনের কথা ভেবেছে। উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগের কথায়, ‘যারা গর্হিত কাজ করেছে তাদের উচিত হবে স্বচক্ষে তাদের অপকর্ম প্রত্যক্ষ করা। তাদের দিয়েই ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করাতে হবে। তাদের মনে অনুশোচনা জাগাতে হবে। যাতে তারা দাঙ্গার পুনরাবৃত্তি না ঘটায়।’
আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন চাই। কিন্তু সেটার জন্য নাগরিক সমাজ যেন অপেক্ষায় না থাকে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন ঘটনা ঘটামাত্রই যে করতে হবে তা নয়, ২০০২ সালের গুজরাটের দাঙ্গার পরে গঠিত বিচারপতি নানাবতী কমিশনের কাজ কিন্তু আজও চলছে। কমিশন গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন ধরানোর ঘটনার বিষয়ে প্রথম রিপোর্ট দিয়েছিল। এরপর তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় গোধরার পরে 
গুজরাটের দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে। এ পর্যন্ত ১৮ বার কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। 
ড. কামাল হোসেন একটি গণতদন্ত কমিশনের কথা বলেছেন। এর প্রতিবেদন যদি প্রকাশ পায়, তা হলে সেটা হবে ইতিহাসের একটি মাইলফলক ঘটনা। তবে তিনি গণতদন্ত কমিশন করবেন বলে নাগরিক সমাজের অন্যান্য প্রতিনিধিকে বলব, কারও জন্য কারও অপেক্ষার দরকার নেই। যারা দাবি তুলেছেন, এই রাষ্ট্র তাদেরও। অতএব তাদেরও কর্তব্য তদন্ত করে একটি রিপোর্ট জনগণের কাছে তুলে ধরা। 
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com

No comments:

Post a Comment