Sunday, 7 October 2012

প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের আগে সেই নেতাদের নিয়ে উদ্বেগ

ঢাকা, সোমবার ৮ অক্টোবর ২০১২, ২৩ আশ্বিন ১৪১৯, ২১ জিলকদ ১৪৩৩ বৌদ্ধ জনপদে হামলাপ্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের আগে সেই নেতাদের নিয়ে উদ্বেগকক্সবাজারে ফের ফেসবুক প্রতারণা, আতঙ্ক পারভেজ খান ও তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার থেকে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার কক্সবাজারে আসছেন। তিনি রামুর ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধ জনপদে আয়োজিত এক সমাবেশে ভাষণ দেবেন। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, রামুর সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষমতাসীন দলসংশ্লিষ্ট যে কজন নেতার নাম জড়িয়ে গেছে তাঁরাও সমাবেশে ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারেন এবং সে ক্ষেত্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এদিকে ফেসবুক-সংক্রান্ত আরেক ঘটনায় আতঙ্কে আছেন কক্সবাজারের আরেক সংখ্যালঘুগোষ্ঠী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। দুলাল চন্দ্র দে নামের এক আইনজীবী সহকারী (মহুরী) পুলিশকে জানিয়েছেন, কেউ চক্রান্তমূলকভাবে তাঁর নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছে এবং তাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো অনেক ছবি ও লেখা সংযুক্ত করা হয়েছে। দুলাল চন্দ্র দে গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, গত শুক্রবার লোকমুখে তিনি ঘটনাটি শোনেন এবং এরপর তাৎক্ষণিকভাবে কক্সবাজার সদর থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, রামু ও উখিয়ার সহিংসতার ঘটনায় প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের পূর্ববিরোধ, ঘটনার রাতে র‌্যাব ও বিজিবিকে পরে ডাকা, এসপি-ওসির দায়সারা দায়িত্ব পালন- এ সব কিছুকেই তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।
ওদের থেকে সাবধান : কক্সবাজারে কর্তব্যরত একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, রামুর সহিংসতার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের একটি মহলও জড়িত। মহলটি ঘটনার আগে ফেসবুকে ধর্মকে অবমাননার নামে প্রতিবাদ সমাবেশ করে এবং উগ্রপন্থীদের উসকে দিয়ে হামলার সুযোগ করে দেয়। এখন ওই অংশই ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধদের পাশে গিয়ে মায়াকান্না করছে। বৌদ্ধরা তাদের এই আচরণে বিস্মিত হলেও ভয়ে কিছু বলতেও পারছেন না। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, প্রধানমন্ত্রী সোমবার রামু আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ আর ছাত্রলীগের সেই সব তথাকথিত নেতা যদি বৌদ্ধদের পাশে উপস্থিত থাকেন সে ক্ষেত্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতেই পারে। তাই তাঁরা ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। প্রতিবেদনে সেই সব নেতার ব্যাপারে সতর্ক থাকা এবং সম্ভব হলে তাদের সমাবেশ থেকে বিরত রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
ফের ফেসবুক ষড়যন্ত্র : কক্সবাজার জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রঞ্জিত দাশ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, সম্ভবত দুর্গা পূজা সামনে রেখে কোনো নাশকতার লক্ষ্য নিয়েই কেউ ফেসবুকের অপব্যবহার করছে। তিনি জানান, কক্সবাজারের আটটি উপজেলায় সাড়ে চার লাখ হিন্দু বসবাস করে আসছে। জেলায় পূজামণ্ডপ হবে ২৪৮টি। মুসলমানদের কাছ থেকেও তাঁরা সহবাসিন্দা হিসেবে যথেষ্ট সহযোগিতা পাচ্ছেন। কক্সবাজারের বাসিন্দা দুলাল চন্দ্রের নামে ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা এবং তাতে আপত্তিকর বিষয় জুড়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে রঞ্জিত দাশ কালের কণ্ঠকে বলেন, হতে পারে বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনার মতো এখানেও একই ধরনের ঘটনা ঘটানোর মতো হীন ভাবনা নিয়ে কেউ এগোচ্ছে। এ আশঙ্কা থেকে তাঁরা থানায় ডায়েরিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান কালের কণ্ঠকে জানান, দুলাল চন্দ্র দের ডায়েরি করার বিষয়টি তিনি অবগত এবং এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঘটনাটি তদন্ত হচ্ছে এবং পুলিশ এ ব্যাপারে সতর্ক আছে।
ঈদের আগের একটি ঘটনা : সরকার-গঠিত তদন্ত কমিটির একজন সদস্য কালের কণ্ঠকে বলেন, তাঁরা তদন্তে একটি পুরনো ঘটনার ব্যাপারেও খোঁজখবর নিচ্ছেন। গত রোজার ঈদের আগে মিয়ানমারের আরাকান এলাকায় গুজব রটে যে, সেখানকার বৌদ্ধ সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ঈদের নামাজ পড়তে দেবে না। এ গুজব এসে আঘাত হানে এপারের সীমান্ত এলাকা কুতুপালংয়ের বাসিন্দাদের। এরপর একটি মহল ছড়িয়ে দেয়, ওপারে রোহিঙ্গারা ঈদের নামাজ পড়তে না পারলে এপারেও বৌদ্ধদের ওপর রোহিঙ্গারা হামলা চালাবে। এমন গুঞ্জনের পর তখন কুতুপালং বৌদ্ধপল্লী প্রায় বৌদ্ধশূন্য হয়ে পড়ে। বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় বৌদ্ধরা। ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে ছুটে যান উখিয়া থানার ওসি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁরা পালিয়ে যাওয়া বৌদ্ধদের অনেককেই ফিরিয়ে আনেন। তাঁদের সেই প্রচেষ্টায় অংশ নেন স্থানীয় রাজনীতিবিদরাও।
প্রশাসন ব্যর্থ, কিন্তু কেন : তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা তদন্তে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার পাশাপাশি আরেকটি ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন যে রামু আর উখিয়ার নৃশংস ঘটনা এড়াতে বা সামাল দিতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসন সচেষ্ট হলেই সহিংসতা এড়ানো সম্ভব হতো। এখন তদন্ত কর্মকর্তারা খুঁজে দেখছেন প্রশাসনের এই ব্যর্থতার সঙ্গে হামলাকারীদের পরিকল্পনার কোনো যোগসূত্র আছে কি না। এ কারণেই তারা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বা গুঞ্জন মাথায় রেখে তদন্ত করছেন।
এসপিকে নিয়ে প্রশ্ন : শোনা যাচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গিরকে ঘটনার রাত পৌনে ১১টার সময় টেলিফোন করে আগাম সংবাদ দেন। তিনি বলেন, রামুতে হামলা বা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে পারে। এসপি সেই বার্তায় কোনো গুরুত্ব দেননি। এ খবরের সত্যতা কতটুকু, সত্য হয়ে থাকলে এসপি কেন নির্বিকার ছিলেন, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের সঙ্গে পূর্ববিরোধ : কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবং রামু থানার ওসির সঙ্গে স্থানীয় বৌদ্ধদের এলাকার কিছু বিষয় নিয়ে পূর্ববিরোধ ছিল। রামুর হাইটুপী গ্রামে বিপু বড়ুয়া নামের এক গৃহবধূ পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন গত ১১ মার্চ। ওই ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় রামু থানার এসআই রুহুল আমিনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তখন বৌদ্ধরা অভিযোগ তোলেন, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ও রামু থানার ওসি এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সে সময় পুলিশের হুমকিতে বড়ুয়া সম্প্রদায়ের অনেক লোক আতঙ্কে ঘরছাড়া ছিল। পুলিশ প্রায় প্রতিদিন বড়ুয়াদের হুমকি দিত। গত সাত মাসেও পুলিশি নির্যাতনের বিচার পাননি ওই সংখ্যালঘু গৃহবধূ। সেই থেকে এসপি ও ওসির বিরুদ্ধে বৌদ্ধরা ক্ষুব্ধ ছিল। পাল্টা ক্ষুব্ধ ছিলেন এসপি আর ওসিও। গত ২৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তার পেছনে সেই বিরোধ কাজ করেছে কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিজিবি-র‌্যাবকে ডাকা হয় পরে : রামু বৌদ্ধপল্লী থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে সেনা অবস্থান। ১২ কিলোমিটার দূরে বিজিবি আর ১০ কিলোমিটার দূরে র‌্যাবের অবস্থান। কিন্তু ঘটনার আগে বা উত্তেজনা দেখামাত্র তাদের কিছু জানানো হয়নি।
এ ব্যাপারে র‌্যাব বলছে, তারা প্রস্তুত ছিল। কিন্তু প্রশাসন থেকে তাদের আগে ডাকা হয়নি। পরে ডাকা হলে তারা রাত পৌনে ২টার দিকে সেখানে যায়। সেটা ঘটনার পরে।
বিজিবির চট্টগ্রামস্থ সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জিল্লুল হক কালের কণ্ঠকে বলেছেন, তাঁরা সন্ধ্যার দিকেই আঁচ করতে পারেন কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু তাঁদের কেউ আহ্বান না করলে তাঁরা আস্তানা থেকে বের হতে পারেন না। তাঁরা ঘটনা আঁচ করতে পেরেই তাঁদের ১৭ ব্যাটালিয়নকে প্রস্তুত করে রাখেন। কিন্তু পুলিশ সুপার বা ডিসির পক্ষ থেকে তাঁরা কোনো সাড়া পাননি। তাঁদের বলা হয় রাত ১২টার পর। খবর পেয়েই তাঁরা ছুটে গিয়ে রাত ১টার মধ্যেই ঘটনাস্থলে পেঁৗছান। সেনা কর্মকর্তারাও ঠিক একই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক) মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেছেন, তিনি ঘটনাটি আঁচ করতে পারেন রাত ১০টার দিকে। খবর পেয়েই তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (এডিসি) ১৫ জন পুলিশ সদস্যসহ ঘটনাস্থলে পাঠান। পরে এডিসি সেখান থেকে রাত ১১টার দিকে টেলিফোনে তাঁকে জানালে তিনি আরো ১৫ পুলিশ সদস্যকে রামুতে পাঠান। আগুনের সূত্রপাত ঘটে রাত সাড়ে ১২টার দিকে। অথচ এসপি ও ডিসি কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ১৭ কিলোমিটার দূরের রামুর ঘটনাস্থলে যান রাত সাড়ে ৩টার দিকে। কেন এই বিলম্ব?
একজন তদন্ত কর্মকর্তা বিস্ময়ের সঙ্গে বলেন, সেই রাতে পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে গিয়ে আগে খোঁজ নেন টেলিভিশনের ক্যামেরা এসেছে কি না। তিনি তাদের খুঁজে বের করে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠেন।
এ ছাড়া রামুর ঘটনার এক দিন পর উখিয়াতেও একই ধরনের হামলা চালানো হয়। সেখানে প্রশাসন কেন পূর্ব প্রস্তুতি নেয়নি সেটা তদন্ত কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন। তদন্তের স্বার্থে কক্সবাজার জেলা ও রামু উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জামায়াত বা মৌলবাদী গোষ্ঠীর কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না তাও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
ট্রাকচালকের স্বীকারোক্তি : রামুর বৌদ্ধপল্লীতে সহিংস ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ট্রাকচালক রমজান আলী গতকাল স্থানীয় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর ট্রাকে করে গিয়ে অনেক ব্যক্তি হামলা চালায়। কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাওহীদুল হক এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আদালতে রমজান জানান, সেই রাতে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে তিনি যখন ট্রাক নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন, তখন ১০-১৫ জন লোক জোরপূর্বক তাঁকে রামুর ঘটনাস্থলে যেতে বাধ্য করে। রামুর রাজারকুল গ্রামের বাসিন্দা রমজান তাঁর জবানবন্দিতে পাঁচ-ছয়জনের নামও বলেছেন।
'এসপি-ওসির পক্ষে আ. লীগ' : কক্সবাজারের শান্তিপ্রিয় মানুষের অনেক দাবির মধ্যে মুখ্য দাবি পুলিশ সুপার সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আর রামু থানার সাবেক ওসি এ কে নজিবুল ইসলামের শাস্তি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজারের কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এসপির প্রশ্রয় পেয়েই কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা কাউকে না জানিয়ে রামুতে সমাবেশ ডাকেন। সেখানে মঞ্চে ওঠেন ওসিও। এখন আওয়ামী লীগেরই একটি অংশ সেই এসপি এবং ওসিকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া। ওসিকে প্রত্যাহার করা হলেও এসপিকে বাঁচাতে তাঁরা ওপরমহলে দেনদরবার করছেন।
কক্সবাজারের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোশতাক আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- সবাই এখানে যুগের পর যুগ ধরে সহাবস্থান করে আসছে। এই সম্প্রীতি যে কতটা উদার আর জোরালো, এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ এ রকম ভয়াবহতার পরও তারা একই সঙ্গে অবস্থান করছে। তাই গুটিকয়েক অর্থলোভী, ধর্মান্ধ আর নষ্ট ব্যক্তির জন্য শান্তি বিনষ্ট হতে পারে না।
বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক বঙ্কিম বড়ুয়া, বৌদ্ধ নেতা বাবুল বড়ুয়াসহ আরো অনেকে পুলিশ প্রশাসনের সেদিনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

No comments:

Post a Comment