Sunday, 7 October 2012

রামুর ঘটনায় দু’ভাইয়ের দুর্বল রাজনীতির কারনে প্রশাসন ব্যর্থ !


মো.আবুল বশর নয়ন,নাইক্ষ্যংছড়ি:
কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ বিহার ও বাড়ি ঘরে সহিংসনতার ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ পরিবারের দু’ভাইয়ের দুর্বল রাজনীতির কারনে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। রাজনৈতিক ঘটনায় এ দু’ভাই কোমর বেধেঁ মাঠে নামলেও গত ২৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় তাদেরকে উলে¬খযোগ্য অবদান রাখতে দেখা যায়নি। গত শুক্রবার সকালে বিএনপি’র গঠিত তদন্ত টিম সরেজমিনে গেলে স্থানীয় জনসাধারণ এ অভিযোগ তুলেন।
শুক্রবার সকাল ১০টায় বিএনপির গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও দলীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ কমিটির অন্য সাত সদস্য সরেজমিনে রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের ধ্বংসস্তুপ ঘুরে দেখেন। এসময় তদন্ত টিম বিহারের পার্শ্ববর্তী একটি রুমে প্রাথমিক ঘটনার বর্ণণা দেন। তবে উক্ত বৈঠকে স্থানীয় বিএনপির কোন নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন না। বিএনপি নেতারা রুমে বৈঠক করা কালীন সময়ে অতর্কিত বিহার এলাকায় হাজির হয়ে জনৈক বিদ্যুত বড়–য়া নামে ব্যক্তি উচ্চস্বরে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জন্য স্থানীয়দের কাছে অনুরোধ করেন। এসময় তিনি বলেন- প্রকৃত ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হউক। শুধু বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা ঠিক হবেনা। এসময় তিনি স্থানীয় আওয়ামীলীগের দুই ভাইয়ের (কাজল ও কমল) এর দুর্বল রাজনীতিকে দায়ী করেন।
সরেজমিন সীমা বিহার ঘুরে ফেরার পথে বিএনপির তদন্ত টিমের সামনে পড়েন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল। এসময় তদন্ত টিমের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তাঁর সাথে করর্মদন করে ঐদিনের ঘটনার বিষয় জানতে চান। কক্সবাজার থেকে রামু মাত্র আধা ঘণ্টার পথ। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় এ সহিংস ঘটনার সূত্রপাত হলেও রাত দেড়টার সময়ও অনেক বৌদ্ধ বিহার ও বাড়িঘরে আগুন দেয়া হয়েছে। ততক্ষণেও জেলা শহর থেকে প্রশাসন কিংবা পুলিশের কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেনি বলে প্রশ্ন করা হলে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল সরকারের পক্ষে সর্বাত্ত্বক চেষ্টা করেছেন বলে দাবী করেন। এসময় বিএনপির তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল¬াহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
উলে¬খ্য দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের রামুতে উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল ও তার ছোট ভাই বিগত সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রাথী সায়মুম সরওয়ার কমল দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। যেকোন ঘটনায় এ দু’ভাই বিভক্ত থেকে নিজেদেরকে মানুষের কাছ থেকে জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা করে থাকেন। এর পরও ঘটনার দিন বিকাল ৪ টা থেকে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার ঘটনা ও রাতে বিক্ষুব্ধ জনতার মিছিলে তারা সরকার দলীয় প্রভাবশালী হওয়া স্বত্বেও প্রশাসনকে কেন ব্যবহার করে সহিংসতার ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সর্বত্র।

No comments:

Post a Comment