ঢাকা, শনিবার ১৩ অক্টোবর ২০১২, ২৮ আশ্বিন ১৪১৯, ২৬ জিলকদ ১৪৩৩
| ¦ | |
|
কক্সবাজারে ব্যারিস্টার আমিররামুর ঘটনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র কক্সবাজার অফিস
রামু, উখিয়া ও টেকনাফের ঘটনা কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়, এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। আজ সকালে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম এ কথা বলেছেন। ব্যারিষ্টার আমির বলেন, কক্সবাজারের রামু, উখিয়া ও টেকনাফে বৌদ্ধ জনপদে হামলার ঘটনা এদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব, জাতি এবং মুক্তিযুদ্ধের ওপর হামলা। এটিকে হালকা করে দেখা উচিত হবেনা। একই সাথে উক্ত ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়াও কারো জন্য সুফল বয়ে আনবে না। এ ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে ধর্মীয় অনুভূতি ও ফেইসবুকের ছবিকে কেন্দ্র করে এমন হামলার ঘটনা ঘটেনি। এটি একটি অজুহাত মাত্র। ষড়যন্ত্রকারীরা বহুদিন ধরে এমন ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল। আর সেটির চূড়ান্ত রূপ দিতে ফেইসবুকের ছবিকে ইস্যু বানিয়ে ধর্মীয় লোকজনকে উত্তেজিত করেছে মাত্র। এসব লোক হামলায় অংশ নেয়নি। সীমান্ত এলাকা হিসেবে এটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এমনিতেই মিয়ানমারের বোঝা নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশের জন্য কক্সবাজারকে তলপেট আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, দেশ বাচাঁতে হলে কক্সবাজারকে অরক্ষিত রাখা যাবেনা।
ঘটনার সময় হাজার বছরের পুরাকীর্তি লুট হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রশাসন এখনও সেসব মূল্যবান পুরার্কীতি উদ্ধারে আন্তরিক নয়। আন্তর্জাতিক ভাবে পুরাকীর্তি বিক্রির একটি কালোবাজারি চক্র রয়েছে। লুট হওয়া সম্পদ এখন কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে কিনা তাও দেখতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে রামু, উখিয়া ও টেকনাফসহ সারাদেশে সম্প্রীত ফিরিয়ে আনতে সম্মিলিত সম্প্রীতি সংহতি পরিষদ নামের একটি সংগঠন করারও সুপারিশ করা হয়।
উল্লেখ্য, সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি আইনজীবী প্রতিনিধিদল গত শুক্রবার রামু, উখিয়া ও টেকনাফে ক্ষতিগ্রস্থ বৌদ্ধবিহার ও বৌদ্ধপল্লী পরিদর্শন করেন। গত বৃহস্পতিবার প্রতিনিধিদলটি কক্সবাজার আসে।
No comments:
Post a Comment